লম্বা সময়ের জন্য বাংলাদেশিদের ওপর ইতালির নিষেধাজ্ঞা
৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইতালি। এ সংক্রান্ত নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করেছে ইতালি।
এর আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদের কেলেঙ্কারির মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজের দুটি ফ্লাইটে ইতালিতে যাওয়া ১৬৫ বাংলাদেশিকে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার।
ইতালির বার্তা সংস্থা এএনএসএ জানায়, কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট বুধবার রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দরে নামার পর ওই উড়োজাহাজে থাকা ১২৫ বাংলাদেশিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্য দেশের যাত্রীদের নামিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হলেও বাংলাদেশি যাত্রীদের ওই উড়োজাহাজে করেই পরে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
নোটামে বলা হয়েছে, ‘ইতালিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশে থেকে আসা সব যাত্রী ও ফ্লাইট ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় কোনও এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে থেকে কোনও যাত্রী আনতে পারবে না। এমনকি কোনও ট্রানজিট ফ্লাইটেও যাত্রী আনা যাবে না, যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।’
এই নোটাম জারির পর কাতার এয়ারওয়েজ ঘোষণা দিয়েছে— ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইতালিগামী কোনও যাত্রী তাদের ফ্লাইটে নেওয়া হবে না।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত দেশগুলোর একটি ইতালি। এ পর্যন্ত সে দেশে ২ লাখ ৪১ হাজার ৮শ’র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় দেশটির অবস্থান ১১তম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ।
জানা গেছে, ৬ জুলাই বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি। এ ঘোষণার পরও ৮ জুন বাংলাদেশ থেকে কাতার হয়ে ইতালিতে যাওয়া দুটি ফ্লাইটের ১৬৮ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইতালি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই মাস বন্ধ থাকার পর জুনে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়। গত কয়েক সপ্তাহে ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট চলাচল হয়েছে।